logo
ads

ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে অন্য ধর্মকে কটূক্তি করলে শাস্তির বিধান চায় হিন্দু মহাজোট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশকাল: ১০ অক্টোবর ২০২৫, ০২:৩৪ পি.এম
ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে অন্য ধর্মকে কটূক্তি করলে শাস্তির বিধান চায় হিন্দু মহাজোট

ক্র্যাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ধর্মীয় সভা থেকে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্ম বা উপাস্য নিয়ে কুৎসা ও কটূক্তি করলে শাস্তির বিধান করার দাবি জানায় হিন্দু মহাজোটের নেতারা।

আজ শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানান নেতারা।

তারা বলেন, কোনো ধর্মের ধর্মীয় বক্তারা অন্য ধর্মকে কটূক্তি করতে পারবে না। সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে- আন্তঃধর্মীয় সুস্থ আলোচনার পথ যেন রুদ্ধ না হয়। সব ধর্মের মানুষই যেন সমান সুবিচার পায়।

হিন্দু যুব মহাজোট সভাপতি প্রদীপ কান্তি দে’র সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ নাহা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হিন্দু ছাত্র মহাজোটের সাবেক সভাপতি সজীব বৈদ্য, সাধারণ সম্পাদক রাজিব সাহা, হিন্দু ছাত্র মহাজোট সমন্বয়ক পঙ্কজ হালদার, হিন্দু যুব মহাজোট সভাপতি রমেন হালদার, ঢাকা মহানগর হিন্দু যুব মহাজোটসহ ছাত্র ও যুব মহাজোটের সিনিয়র নেতারা।

রাজেশ নাহা বলেন, ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে রামুতে সাম্প্রদায়িক হামলার মাধ্যমেই মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে প্রথম বড়োসড়ো সাম্প্রদায়িক হামলার সূচনা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর, যশোরের অভয়নগর মালোপাড়ায়, রংপুরের গঙ্গাচড়ায়, কুমিল্লার হোমনায়, ভোলার বোরহানউদ্দিন ও হবিগঞ্জের শাল্লায় সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনাসহ আরও অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ধর্ম অবমাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, যেই ধর্মেরই হোক না কেন। সেই সঙ্গে ধর্ম অবমাননার নামে নির্দোষ জনগোষ্ঠীর ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সবাইকে শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে। ব্যক্তির দায়ে সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। হামলার শিকার নির্দোষ ব্যক্তিদের সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে ক্রমান্বয়ে হামলা বন্ধ হবে। 

বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় জনগোষ্ঠী হিসেবে সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায় বিদ্যমান সব ধর্মের অবমাননার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বর্তমানে সবাই অনুভব করতে সক্ষম হয়েছি যে ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর আঘাত করলে সেটা হৃদয়ে কতটা কষ্টকর অনুভূতি তৈরি করে। এই সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে দাবি করছি, যে বাংলাদেশের বিদ্যমান সব ধর্মের অবমাননা রোধে সুস্পষ্ট আইন প্রণয়ন ও সব ধর্মের অবমাননার বিচারের ক্ষেত্রে আইনের সমান প্রয়োগ নিশ্চিত করার দাবি তাদের।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ