নরসিংদীর পলাশে যেন আনন্দের ঢেউ উঠেছে—শতাধিক লক্ষ্মী পূজার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে সমৃদ্ধি ও শান্তির সেই অমর আলো। পন্ডিত পাড়া, কড়ইতলী, রাবন, চরসিন্ধুরের মন্দির ও ক্লাবগুলোতে প্রতিমা তৈরি করে পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত এই পূজা যেন এক মধুর উৎসব, যেখানে ভক্তদের হৃদয়ে জেগেছে দেবী লক্ষ্মীর কৃপায় ধন, কল্যাণ ও পারিবারিক মঙ্গলের প্রত্যাশা। গভীর রাত পর্যন্ত আরতি, নাচ, গানে মুখরিত মন্দির প্রাঙ্গণ যেন পলাশের আকাশে ছড়িয়েছে এক অপার আনন্দের সুর।
বৃহস্পতিবার পূজার বিসর্জনের মধ্য দিয়ে উৎসবের একটি অধ্যায় শেষ হলেও, শুক্রবার বিজয়া দশমীর মেলায় পলাশের মানুষের উচ্ছ্বাস অটুট থাকবে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাসে, আশ্বিনের পূর্ণিমায় দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা যেন শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং জীবনে শান্তি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গলের এক অটুট প্রতীক। এই পূজার মধ্য দিয়ে পলাশের মানুষ যেন একসঙ্গে প্রার্থনা করছে—দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদে প্রতিটি ঘরে জাগুক সমৃদ্ধির আলো, প্রতিটি হৃদয়ে ছড়িয়ে পড়ুক শান্তির সেই মধুর স্পর্শ।
এই উৎসব যেন পলাশের মাটিতে শুধু একটি পূজা নয়, বরং সকলের মিলনে এক ঐক্যের উৎসব, যা আমাদের হৃদয়ে জাগিয়ে তুলছে সেই গভীর অনুভূতি—লক্ষ্মী পূজার এই আলো যেন নরসিংদীর প্রতিটি গ্রামে ছড়িয়ে পড়ুক, এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জীবনে বয়ে আনুক শান্তি, সমৃদ্ধি ও অমর মঙ্গল, গর্বিত এবং অটুট।

