ভ্যাটিকান সিটি: পোপ লিও XIV তার প্রথম আন্তর্জাতিক সফরে তুরস্ক ও লেবানন যাচ্ছেন, যেখানে তিনি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা, রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও স্থানীয় খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতি সমর্থন প্রদর্শন করবেন।
পোপ লিও তুরস্ক সফর করবেন নভেম্বর ২৭–৩০, এবং এরপর লেবানন সফর করবেন নভেম্বর ৩০–ডিসেম্বর ২। তুরস্কে তিনি নিকেয়া কাউন্সিলের ১,৭০০তম বার্ষিকী উদযাপন করবেন। এই কাউন্সিলে খ্রিস্টান ধর্মবিশ্বাস সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নীতি স্থাপন করা হয়েছিল, যা আজও বিশ্বের চারপাশের চার্চে পাঠ করা হয়। ভ্যাটিকান জানিয়েছে, লিও নিকেয়া (আজকের ইজনিক শহর) সফর করবেন এবং তুরস্কে ইস্টার্ন অর্থডক্স খ্রিস্টানদের আধ্যাত্মিক নেতা একুমেনিকাল প্যাট্রিয়ার্ক বার্থলোমিউ-র সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
পোপ লিও সাংবাদিকদের বলেন, "লেবানন সফর একটি সুযোগ হবে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার, একটি দেশ যা বহু কষ্ট ভোগ করেছে।" তিনি আরও বলেন, "আমাদের লক্ষ্য হবে শান্তি ও আশা প্রতিষ্ঠা করা।"
ভ্যাটিকান জানিয়েছে, তুরস্ক ও লেবাননের নাগরিক ও চার্চ নেতাদের আমন্ত্রণে এই সফর হচ্ছে। লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন, যিনি মারোনাইট খ্রিস্টান, জুন মাসে ভ্যাটিকান সফরে লিওকে আমন্ত্রণ জানান। লেবাননে উল্লেখযোগ্য খ্রিস্টান সম্প্রদায় রয়েছে, যার মধ্যে মারোনাইটরা সবচেয়ে বড় সম্প্রদায়। ২০২০ সালের বেইরুত বন্দরের বিস্ফোরণে নিহত ২০০ জনের স্মরণে লিও সেখানে স্মরণী অনুষ্ঠানও করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ভ্যাটিকান উপদেষ্টা জন ক্রাইসাভগিস বলেন, "লিওর সফর দেখাচ্ছে, তিনি খ্রিস্টান পরিচয় প্রকাশ করতে চাইছেন, যেখানে সকল ধর্ম ও জাতির মানুষ পারস্পরিক বোঝাপড়ায় বসবাস করবে।"
লিও আরও বলেন, "আমরা ভাবতে হবে, পৃথিবীতে কতটা ঘৃণা বিদ্যমান এবং আমরা কী করতে পারি।" তিনি ইসরায়েলি কমিউনিটিতে হামাসের অক্টোবর ৭-এর হামলার দ্বিতীয় বার্ষিকীর প্রসঙ্গে বিশ্বে ঘৃণার অবসান ও সংলাপের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
এই সফর ভ্যাটিকান ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে শান্তি ও সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

