বাংলাদেশের মানুষের কাছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই নয়, এটি তাদের আবেগ ও প্রাণের প্রতিষ্ঠান। কেননা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শহিদ আবু সাঈদ ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই পুলিশের সামনে বুক পেতে দিয়েছিলেন। ১২ অক্টোবর এই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ১৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করছে।
প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
উত্তরবঙ্গের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে রংপুরে একটি পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি জানিয়ে আসছিল। কেননা উচ্চশিক্ষার সুযোগের অভাব ও ঢাকাকেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থার কারণে উত্তরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছিল। এই প্রেক্ষাপটে ২০০১ সাল থেকে উত্তরবঙ্গবাসী ও বিভিন্ন শিক্ষাবিদগণ আন্দোলন ও দাবিদাওয়া পেশ করতে থাকেন। অবহেলিত উত্তরবঙ্গের মানুষের প্রাণের সেই দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে রংপুরে একটি স্বতন্ত্র ও পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এরপর ২০০৮ সালের ১২ অক্টোবর “রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ, ২০০৮”-এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ছিল রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০৯ সালের ৪ এপ্রিল ৩০০ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে রংপুর সদরের ধাপ এলাকায় সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ক্যাম্পাসের কয়েকটি কক্ষ নিয়ে গঠিত অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রথম একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে।
তবে ২০১১ সালে এসে এর নাম পরিবর্তন করা হয়। তখন মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়ার নামে বিশ্ববিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয়। অতঃপর ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রংপুর ক্যাডেট কলেজ ও কারমাইকেল কলেজের মধ্যবর্তী স্থানের জমিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাসের কার্যক্রম শুরু হয়। এই স্থানে ২০০১ সালে “রংপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়”-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল এবং এখানকার জমিও অধিগ্রহণ করা ছিল। সেই জমিতেই গড়ে ওঠে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য নিযুক্ত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. লুৎফর রহমান। তাঁর নেতৃত্বেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট
প্রতিষ্ঠার অল্প কিছুকাল পরই বিশ্ববিদ্যালয়টির ওপর শনির নজর পড়েছিল যেন! সম্পূর্ণ অযাচিতভাবে প্রতিষ্ঠাকালীন উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর শুরু হয় অনিয়ম আর স্বজনপ্রীতির মহোৎসব। বিগত এক দশক ধরে সংবাদমাধ্যমগুলিতে নেতিবাচক সংবাদের শিরোনাম হতে থাকে রংপুরের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি।
প্রতিষ্ঠার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম যেমন এগিয়ে চলতে থাকে, তেমনি প্রতি বছর একের পর এক অনিয়ম আর দুর্নীতির জেরে খবরের শিরোনাম হতে থাকে বেগম রোকেয়ার নামে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। আর সংবাদ শিরোনাম হবার ক্ষেত্রে অতীতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন এর কর্তাব্যক্তিগণ।
যদিও উপাচার্য হলেন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রধান নির্বাহী, এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি দেশের প্রতিথযশা শিক্ষাবিদগণকে সাধারণত উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিয়ে থাকেন, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো— এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ উপাচার্যই তাঁদের সম্মান ও খ্যাতি ধরে রাখতে পারেননি। তাঁদের কয়েকজনই দুর্নীতি, নিয়োগ-বাণিজ্য, স্বেচ্ছাচারিতা ইত্যাদি নানাবিধ অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। কমপক্ষে দু’জন উপাচার্য তাঁদের কর্মকাণ্ড নিয়ে ওঠা গুরুতর অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করেছেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে বিচারকার্য এখনও চলমান রয়েছে।
জুলাই বিপ্লব ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
তবে তরুণ শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সম্মান ও সাহসের যে অনন্য নজির স্থাপন করেছে, তাতে অতীতের নেতিবাচক অবস্থান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রত্যাশার নতুন যাত্রা শুরু করেছে।
কোটা-বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ পুলিশের সামনে বুক পেতে দাঁড়িয়ে শহিদ হয়েছিলেন। আবু সাঈদের শাহাদতের মাধ্যমে কোটাবিরোধী আন্দোলন হয়ে ওঠে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এক ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান ভারতে। একটি অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে, যার নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের পছন্দে দায়িত্ব নেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনুস।
দায়িত্ব গ্রহণের দু’দিনের মাথায় ড. ইউনুস রংপুরে আসেন। তিনি শহিদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করার পরই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন এবং এখানকার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে বসেন। শহিদ আবু সাঈদের সতীর্থ শিক্ষার্থীদের মুখে তিনি শোনেন হতাশা, বঞ্চনা ও না পাওয়ার দীর্ঘ কাহিনী।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে শামসুর রহমান সুমন কয়েকটি মৌলিক সমস্যা তুলে ধরেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে সেদিন কোনো উপাচার্য ছিলেন না। শিক্ষার্থীরা দাবি করেন— সৎ, যোগ্য ও জাতীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হোক।
তাছাড়া তারা ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ ও ছাত্র সংসদ নির্বাচন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, গবেষণাগার, অনুষদ বৃদ্ধি, অডিটোরিয়ামসহ শতভাগ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বাজেট বৈষম্য দূরীকরণের লিখিত দাবি করেন। প্রধান উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবিগুলির সঙ্গে একমত পোষণ করেন এবং সেগুলি পূরণের আশ্বাস দেন।
সংকট থেকে সম্ভাবনার পথে
উত্তরের খেটে-খাওয়া মানুষের সন্তানদের এই বিশ্ববিদ্যালয়টির সেদিন শুরু হয় প্রত্যাশার এক নতুন যাত্রা। উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের অধ্যাপক, শিক্ষার্থী-বান্ধব ও কঠোর পরিশ্রমী হিসেবে পরিচিত ড. মোঃ শওকাত আলী। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলার প্রাণান্তকর এক প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
শুরুতেই বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা নিয়ে। ইতোমধ্যে সেশনজটে পড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছিল। তাছাড়া শহিদ আবু সাঈদ ও তাঁর সতীর্থদের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ ও তাদের চিহ্নিত দোসর-অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং তাদের বিচারের আওতায় আনার প্রয়োজন ছিল। আহত শিক্ষার্থীদের জন্য সুচিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার ব্যবস্থাও জরুরি হয়ে পড়েছিল।
উপাচার্য মহোদয়ের একান্ত উদ্যোগে দ্রুততম সময়ে সেমিস্টারগুলো সম্পন্ন করার এক বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। শিক্ষক সংকটে বন্ধ ক্লাস চালু করতে তিনি নিজে ক্লাস নেওয়া শুরু করেন; তাঁর নির্দেশনায় শিক্ষকবৃন্দ ছুটির দিনেও অতিরিক্ত ক্লাস ও পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। এভাবে সেশনজটের কবল থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন।
তাছাড়া শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সবধরনের লেজুবৃত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং ছাত্র সংসদ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য সব প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে, এবং শিক্ষার্থীরা এখন ছাত্র সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার অপেক্ষায় আছে।
আবাসিক হলগুলোতে কয়েকবার তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। হলে দখলদারদের উচ্ছেদপূর্বক মেধার ভিত্তিতে সিট বণ্টন করা হয়েছে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য ডাইনিং চালু করা, দ্রুতগতির ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করা, তাদের জন্য পাঠকক্ষে অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীর পড়াশোনার সুযোগ সৃষ্টি করা, হলের মসজিদ, টিভি রুম, কমনরুমের সংস্কার ও নতুন ফার্নিচার সরবরাহ, এবং লন্ড্রি, সেলুন ও দোকানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এতে আবাসিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে; ক্যাম্পাসে পড়াশোনার পরিবেশ ফিরে এসেছে।
শ্রেণিকক্ষ সংকট বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু পুরোনো একটি সমস্যা। এর সমাধানে ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি একাডেমিক ভবনে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ দ্রুতগতিতে চলছে।
অডিটোরিয়াম না থাকায় অবস্থা এমন ছিল যে, ২০০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ঘরোয়া কোনো আয়োজনও সম্পন্ন করা সম্ভব হতো না। এই সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য ক্যাফেটেরিয়া ভবনের তৃতীয় তলার কাজ সম্পন্ন করে সেখানে আপাতত হলরুম তৈরি করা হচ্ছে, যাতে অডিটোরিয়াম না হওয়া পর্যন্ত তিন থেকে চার শত শিক্ষার্থী নিয়ে ছোটখাটো আয়োজন করা যাবে। এটি প্রায় সম্পন্ন হয়েছে।
মেয়েদের জন্য একটি আলাদা কমনরুম ভবন নির্মিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় মসজিদের তৃতীয় তলার কাজ শেষ হয়েছে। ইলেকট্রিক্যাল ল্যাব ভবনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ডবল লেন ও ফুটপাতসহ কৃষ্ণচূড়া সড়কের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা দ্বিতীয় ছাত্রীহল ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরুর প্রক্রিয়াও প্রায় শেষ পর্যায়ে।
শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের পরিবহন সংকট দূর করা হয়েছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে নতুন বাস কিনতে না পেরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমতিক্রমে বিআরটিসির সাতটি বাস ভাড়া করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে রংপুরের বিভিন্ন উপজেলা সদর পর্যন্ত বাস সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।
তাছাড়া কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির জন্য এই বছর প্রায় ত্রিশ লক্ষ টাকার নতুন বই ক্রয় করা হয়েছে। অনলাইনে পিডিএফ বই পড়ার জন্য কম্পিউটারের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা সেবা আরও বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
জুলাই বিপ্লবের পরে নানামুখী চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আজ নতুন করে সম্ভাবনার পথে যাত্রা করেছে। এ অঞ্চলের মানুষের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী উচ্চশিক্ষার একটি অনন্য বিদ্যাপীঠ হিসেবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তুলতে বর্তমান প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করছেন।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় উন্নয়ন বাজেটের কাজ এগিয়ে চলছে, যা বাস্তবায়িত হলে নতুন আবাসিক হল, একাডেমিক ভবন, টিএসসি, অডিটোরিয়াম, আবাসিক ভবন ইত্যাদি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার আলোকে আমাদের এই যাত্রায় অন্তর্বর্তী সরকারের মাননীয় উপদেষ্টাবৃন্দ সঙ্গে আছেন। তাছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ সরকারের বিভিন্ন শাখা ও দপ্তর সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় তার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তরিক ও অংশগ্রহণমূলক প্রচেষ্টার মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে নতুন সম্ভাবনার দিকে। আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার সঙ্গে দেশবাসী, অভিভাবক ও সুধীবৃন্দের আন্তরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে— এই প্রত্যাশা রাখছি।
শহিদ আবু সাঈদের স্মৃতিধন্য বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম প্রতিষ্ঠা দিবসে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
লেখক: ড. মোঃ হারুন-অর রশিদ, রেজিস্ট্রার
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর

