দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে নেতৃত্বের গুণাবলীর উপর। সমাজ, রাষ্ট্র ও জাতির দিকনির্দেশনা দেন নেতা—তাই নেতৃত্বের মান যত উন্নত, রাষ্ট্রের অগ্রযাত্রা তত দৃঢ় হয়। অথচ বাস্তবতা হলো, আজ আমরা এমন অনেক নেতাকে দেখতে পাই, যারা ব্যক্তিস্বার্থ, ক্ষমতালিপ্সা ও প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতায় মানবিকতা ভুলে যাচ্ছেন। ফলে সমাজে ন্যায়, সততা ও মানবিক মূল্যবোধের জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হচ্ছে লোভ, হিংসা ও বিভাজন।
আমরা চাই এমন নেতৃত্ব—যিনি সৎ, সাহসী ও মানবিক। যিনি কখনো অসৎ উদ্দেশ্যে কোনো নাগরিকের উপর প্রভাব খাটাবেন না, বরং মানুষের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়াবেন। প্রকৃত নেতা সেই, যিনি ক্ষমতাকে নিজের জন্য নয়, জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করেন। যিনি মানুষের সুখে–দুঃখে অংশ নেন, সমাজের দুর্বল ও নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকেন।
বাংলাদেশ আজ একটি ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, নৈতিক অবক্ষয় ও সামাজিক বৈষম্যের এই সময়ে আমাদের প্রয়োজন নীতিবান, দূরদর্শী ও দায়িত্বশীল নেতৃত্ব। এমন নেতৃত্বই সমাজে স্থিতি ও আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারে।
নেতৃত্ব মানে শুধু ক্ষমতা নয়—এটি একটি দায়িত্ব, একটি অঙ্গীকার। একজন প্রকৃত নেতা জনগণের প্রতিনিধি, জনগণের বন্ধু, জনগণের কণ্ঠস্বর। তাই এখন সময় এসেছে আমরা নিজেদের প্রশ্ন করি—আমরা কেমন নেতার নেতৃত্বে থাকতে চাই?
আমরা চাই এমন নেতা, যিনি সততার শক্তিতে বলীয়ান, মানবিক গুণাবলীতে সমৃদ্ধ এবং জনগণের আস্থার প্রতীক। কারণ, জনগণ যেমন, তেমনই নেতা; আর নেতা যেমন, তেমনই জাতির ভবিষ্যৎ।
লেখক—
শিক্ষক ও সাংবাদিক
sharifsstyle@gmail.com

