মাটিরাঙ্গার মাটিতে একটি নতুন আশার আলো জ্বলে উঠেছে। রবিবার (১২ অক্টোবর) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাঙ্গণে জাতীয় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন হয়েছে, যেন একটি স্বপ্নের সূচনা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শোভন দত্তের হাত ধরে শুরু হওয়া এই উদ্যোগ যেন শিশুদের জন্য একটি সুরক্ষার ঢাল। মাটিরাঙ্গা ও গুইমারা উপজেলার ২৮ হাজার ৮০০ শিশুর হাসি আর স্বাস্থ্য রক্ষার প্রতিজ্ঞা নিয়ে এই কর্মসূচি যাত্রা শুরু করেছে।
এই টিকাদান কর্মসূচি যেন একটি মায়ের কোমল আলিঙ্গন, যা ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী প্রতিটি শিশুকে টাইফয়েডের মতো মারাত্মক রোগের হাত থেকে রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর। ইপিআই কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে প্রদান করা এই টিকা যেন একটি উপহার, যা প্রতিটি শিশুর জীবনে সুস্থ ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি বহন করে। প্রথম ১০ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ক্যাম্পে এবং পরবর্তী ৮ দিন টিকাদান কেন্দ্রে এই কর্মসূচি চলবে, যেন একটি নদীর স্রোত, প্রতিটি শিশুর কাছে পৌঁছে তাদের জীবনকে সুরক্ষিত করবে।
ডা. শোভন দত্তের কণ্ঠে ছিল দায়িত্ব ও আন্তরিকতার মিশ্রণ। তিনি বলেন, “টাইফয়েড শিশুদের জন্য একটি ভয়াল শত্রু। শিক্ষক, অভিভাবক ও জনপ্রতিনিধিদের হাত ধরে আমাদের এই যুদ্ধ জয় করতে হবে।” তাঁর কথাগুলো যেন একটি শপথ, যা সমাজের প্রতিটি স্তরকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানায়। তিনি আরও জানান, টিকা সংরক্ষণ, প্রদান পদ্ধতি, অনলাইন রেজিস্ট্রেশন ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ব্যবস্থাপনার জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তুতি যেন একটি দুর্গ, যা শিশুদের নিরাপত্তার জন্য অটুট থাকবে।
অনলাইনে জন্মনিবন্ধনের ১৭-সংখ্যার নম্বর ব্যবহার করে টিকার জন্য নিবন্ধনের ব্যবস্থা যেন একটি সেতু, যা প্রতিটি শিশুকে এই সুরক্ষার ছায়ায় নিয়ে আসবে। আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলা এই কর্মসূচি যেন একটি মশাল, যা সারা দেশে শিশুদের স্বাস্থ্যের পথ আলোকিত করছে।
মাটিরাঙ্গার এই উদ্যোগ শুধু একটি টিকাদান কর্মসূচি নয়, এ যেন একটি প্রতিশ্রুতি—প্রতিটি শিশুর হাসি, তাদের স্বপ্ন, তাদের ভবিষ্যৎ রক্ষার প্রতিশ্রুতি। এই ২৮ হাজার ৮০০ শিশুর জন্য টাইফয়েড টিকা যেন একটি পুষ্পস্তবক, যা তাদের জীবনে সুস্থতা ও সম্ভাবনার সুগন্ধ ছড়াবে। মাটিরাঙ্গার এই প্রয়াস বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর জন্য একটি উজ্জ্বল

