ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় যেন এক স্বাস্থ্যের উজ্জ্বল সূর্যোদয়ের আলো ছড়িয়ে পড়েছে—টাইফয়েডের বিষাক্ত ছায়া থেকে শিশু-কিশোরদের মুক্ত করতে ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া জাতীয় টিকাদান ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন যেন হাজারো হৃদয়ে জাগিয়েছে অমর আশার স্ফুলিঙ্গ। চরভদ্রাসন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়োজনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই উদ্যোগ যেন এক মায়াবী বৃষ্টির মতো, যা ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী ১৭,৮১১ শিশু-কিশোরের জীবনে বর্ষিয়ে দিচ্ছে প্রতিরোধের সেই সোনালি বর্ষা, যা আগামী ৫ বছর ধরে তাদেরকে টাইফয়েডের নির্মম থাবা থেকে রক্ষা করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হাফিজুর রহমান, যার কণ্ঠে ফুটে উঠেছে এই ক্যাম্পেইনের অমর গুরুত্ব—প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা খাতুনের উপস্থিতি যেন এই উদ্যোগকে এক অটুট দায়িত্বের প্রতীক করে তুলেছে। চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রজিউল্লাহ খানের বিশেষ অতিথিত্বে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার খন্দকার মাকসুদুর রহমান, সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. মিজানুর রহমান, পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, শাহজাহান শিকদার ও শিরিন সুলতানাসহ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি যেন এক হৃদয়ের মিলন, যা শিশুদের সুরক্ষার এই যাত্রাকে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছে।
উদ্বোধনী দিনে চারটি স্কুলের ১,১৩০ শিক্ষার্থীর মাঝে টাইফয়েড প্রতিরোধক টিকা প্রদান যেন এক বিজয়ের প্রথম ধাপ—আগামী এক মাসব্যাপী উপজেলা জুড়ে পালাক্রমে ১৭,৮১১ শিশু-কিশোরকে এই টিকা দেওয়া হবে, যেন এই প্রতিরোধের ঢাল তাদের হৃদয়ে জাগিয়ে তুলবে সুস্থ জীবনের সেই অমর স্বপ্ন। ডাঃ হাফিজুর রহমানের ব্যাপক প্রচার প্রচারণা ও জনসচেতনতা যেন এক অদম্য নদী, যা উপজেলার প্রতিটি গ্রামে বয়ে দিচ্ছে টাইফয়েডের বিষাক্ত থাবা থেকে মুক্তির বার্তা। এই ক্যাম্পেইন যেন শুধু একটি টিকা নয়, বরং চরভদ্রাসনের শিশু-কিশোরদের হৃদয়ে জাগিয়েছে স্বাস্থ্যের সেই অটুট আশা, যা পরিবারের হাসির মুখে ফুটিয়ে তুলবে এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের রঙ, গর্বিত এবং অমর।

