ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের সময় পেটে সার্জিক্যাল যন্ত্র রেখে দেওয়ার ঘটনায় শান্তা (২০) নামের এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। একাধিকবার অপারেশনের পর তার মৃত্যু হলে পরিবারে আহাজারি ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ রয়েছে, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্বজনদের চার লাখ টাকায় সমঝোতা হয়।
শনিবার রাতে নগরীর ভাটিকাশর এলাকার ভেনাস হাসপাতালে সিজার করা হয় শান্তার। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই আবার অপারেশন করা হয়। স্বজনদের দাবি, প্রথম অস্ত্রোপচারে চিকিৎসকরা ভুলবশত পেটে সার্জিক্যাল যন্ত্র রেখে দেন। দ্বিতীয়বার অপারেশনে সেটি বের করার পরও অবস্থার উন্নতি হয়নি। শেষ পর্যন্ত তৃতীয়বার অপারেশন করা হয়, কিন্তু রক্তক্ষরণ বেড়ে গেলে রবিবার ভোরে তাকে কমিউনিটি বেইজ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সিবিএমসি) নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শান্তা নগরীর বলাশপুর এলাকার মো. মোস্তাকীমের স্ত্রী। রবিবার সন্ধ্যায় জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
স্বামী মোস্তাকীম অভিযোগ করে বলেন, “তারা আমার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। তিনবার অপারেশন করে শরীরে যন্ত্র রেখে দিয়েছে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।”
নিহতের মামি আফরোজা আক্তার বলেন, “ডাক্তাররা আগে জানিয়েছিলেন সব ঠিক আছে। কিন্তু সিজারের পর শান্তা আর ফিরে আসেনি। এটা তাদের অবহেলার ফল।”
ভেনাস হাসপাতালের পরিচালক আজহার মাহমুদ বলেন, “ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। শুনেছি, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মালিক সমিতির নেতাদের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। তবে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে কিছু জানি না।”
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. শিবিরুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

