বাঙালির ঘরে জামাই মানেই প্লেটে ইলিশ, গলায় ফুলমালা, আর শ্বশুরবাড়ির আদরে মাথার তাজ। কিন্তু ২০২৫-এর দুর্গাপুজো এসে সব তালগোল পাকিয়ে দিল! মুর্শিদাবাদের Sadhak Narendra Smriti Sangha প্যান্ডেলে দেখা গেল, বাংলাদেশের নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস, যিনি পশ্চিমবঙ্গের জামাই (স্ত্রী আফরোজা ইউনুসের কলকাতার বাপের বাড়ির সুবাদে), তিনি ফুলমালা ফেলে মহিষাসুরের মুখোশে দেবী দুর্গার পায়ের নিচে শুয়ে! পাশে পাকিস্তানের শেহবাজ শরীফের কাটা মাথা, আর Khagra Crematorium Ghat প্যান্ডেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প অসুর সেজে হাজির। এ কী হাসির হাট! ঢাকের তালে ভক্তরা নাচছে, শালা-শালিরা হাঁ করে তাকিয়ে, আর X-এ মিমের বন্যা—এ যেন দুই বাংলার ভালোবাসার প্লেটে ইলিশের বদলে পটলের চচ্চড়ি!
ইলিশ ঝোলের ঝাঁঝ: জামাইয়ের ঠকবাজি?
বাঙালির প্লেটে ইলিশ আর জামাই একই সুতোয় গাঁথা। বঙ্গোপসাগরের মোহনার ইলিশ যেন পশ্চিমবঙ্গের কাছে লেখা প্রেমপত্র! শ্বশুরবাড়ি ইলিশ না দিলে যেন প্রেমের প্লেটে ফাটল ধরে। ২০২৪-এ ইউনুস সরকার ইলিশ রপ্তানির ব্যান তুলে ৩,০০০ টন পদ্মার রূপালি মাছ পশ্চিমবঙ্গে পাঠিয়ে শ্বশুরবাড়ির দিল জিতেছিলেন। কিন্তু ২০২৫? প্রতিশ্রুত ১,২০০ টনের বদলে পৌঁছেছে মাত্র ৩৭.৫ টন! কলকাতার বাজারে ইলিশের দাম আকাশছোঁয়া—২,২০০-২,৪০০ টাকা কেজি। শালা-শালিরা হুগলির পুঁটিমাছ আর গুজরাটি সার্ডিন খেয়ে মুখ বেঁকাচ্ছে, আর বলছে, “দুলাভাই, ইলিশের ঝোলের গন্ধে আমাদের ঠকালে?” পশ্চিমবঙ্গের শালাশালিরা এখন হুগলির ছোট্ট পুঁটি ইলিশ বা সার্ডিন আর গুজরাটি চৌক্কা খেয়ে মুখ বেঁকাচ্ছে। এদিকে জামাইবাবুর বাড়ি থেকে ইলিশ ভাপার ঘ্রান এক প্রকার বলেই দিচ্চে- জামাইবাবুরা একটু ডাটেই থাকেরে.. লায়লা...!
জামাই-শালা-শালির হাসির ঝগড়া
দৃশ্য কল্পনা করুন—
জামাই ইউনুস: “শ্বশুরমশাই, পুজোয় পাঁচটা ইলিশ পাঠাচ্ছি, প্লেট সাজিয়ে রাখেন!”
শ্বশুর: “বাবা রে, এ তো পুঁটিমাছ! ইলিশ কই? জামাই, তুমি কি আমাদের ফাঁকি দিচ্ছ?”
শাশুড়ি (চোখ মুছতে মুছতে): “প্রতি পুজোয় ইলিশের স্বপ্ন দেখাই, আর শেষে পটলের চচ্চড়ি! জামাই, এ কেমন জামাইয়ের আদর?”
শালা বিজিপি দে (রেগে গিয়ে): “দিদি, এই জামাইবাবুকে প্যান্ডেলে মহিষাসুর বানিয়ে শুইয়ে দাও, দেখি কীভাবে ইলিশ পাঠায়!”
শালি লায়লা (ফিসফিস করে): “দুলাভাই, ইলিশ না পাঠালে পরের পুজোয় তোমার মূর্তি আরও বড় করে অসুর সাজাব!”
বাংলাদেশের মৎস্য অধিদপ্তর বলছে, “লোকাল ডিমান্ড বেশি, মাছ কম।” কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের শালা-শালিরা চেঁচাচ্ছে, “দুলাভাই আমাদের পুজোর প্লেট খালি রাখলেন!” X-এ বাংলাদেশিরা ফুঁসছে: “@LaraLotus_
: আমাদের গর্ব ইউনুসকে শ্বশুরবাড়ি পায়ে মাড়ালো!” প্যান্ডেলের ইন্দ্রজিৎ দুবে বলছেন, “এটা রাজনৈতিক ব্যঙ্গ, ব্যক্তিগত নয়।” কিন্তু জামাইয়ের মুখে অসুরের মুখোশ চাপালে দুই বাংলার ভালোবাসার ঝোল ছিটকে যায়!
জামাই বাড়িতে লাইট জ্বললেও প্রেম নিভছে
ইলিশের ঝামেলা তো মাত্র ট্রেলার। ইউনুস সরকারের আসল মাথাব্যথা—বিদ্যুৎ আর ট্রানজিট। ভারতের আদানি পাওয়ার থেকে ১,৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসছে, নতুন ১,০০০ মেগাওয়াট রিনিউয়েবল পাওয়ার ডিলও হয়েছে। কিন্তু ভারতীয় মিডিয়ায় হল্লা, “বাংলাদেশ বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনছে!” মার্চ ২০২৫-এ সাপ্লাই হাফ হয়ে গেলে শালা-শালিরা বলল, “দুলাভাই, ফ্যান চালিয়ে বিল আমাদের গলায় ঝুলিয়ে দিলে?”
ট্রানজিট নিয়ে আরও তামাশা। ইউনুস চীন সফরে (মার্চ ২০২৫) বললেন, “বাংলাদেশ হবে নর্থইস্ট ভারতের ওশান গেটওয়ে।” শ্বশুরবাড়ি শুনে আগুন! এপ্রিলে ট্রানজিট বন্ধ। শালা-শালিরা বলল, দুলাভাই শ্বশুরের গাড়ি ধার নিয়ে চীনের হাইওয়েতে ঘুরতে গেলেন। শ্বশুর গর্জে উঠলেন, “জামাই, গাড়ির চাবি লুকিয়ে ফেলব, আর ইলিশের স্বপ্ন দেখা বন্ধ করো!”
শেহবাজ-ট্রাম্প-ইউনুস: অসুর ক্লাবের ত্রয়ী
মুর্শিদাবাদের প্যান্ডেলে যেন রাজনৈতিক কৌতুকমঞ্চ। শেহবাজ শরীফের কাটা মাথা—পাকিস্তানের চিরশত্রু, তাকে অসুর বানানো মানায়। ট্রাম্প? ৫০% ট্যারিফ দিয়ে ভারতের শিল্পে আগুন জ্বালানোর জন্য অসুর। কিন্তু ইউনুস? তিনি তো শালা বিজিপি দে আর শালি লায়লার প্রিয় দুলাভাই! তবু তাকে শেহবাজ-ট্রাম্পের অসুর ক্লাবে ঢুকিয়ে দেওয়া হলো। যেন শালা-শালিরা বলল, “জামািইবাবু, তুমি ইলিশ দাওনি, হাসিনাকে তাড়িয়েছ, চীনের সাথে ফ্লার্ট করছ—এবার প্যান্ডেলে শুয়ে পড়ো!”
সংখ্যালঘু হামলা আর হাসিনার হাওয়াই মিঠাই
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, মন্দির ভাঙচুর, মূর্তি ধ্বংসের খবর আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ছড়িয়েছে। ইউনুস বলছেন, “সব সোশ্যাল মিডিয়ার গুজব!” কিন্তু শ্বশুরবাড়ির শালা-শালিরা বলছে, “দুলাভাই, তুমি আমাদের রক্ষা করতে ব্যর্থ!” এর ওপর শেখ হাসিনা ইস্যু। হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, ইউনুস এক্সট্রাডিশনের জন্য চাপ দিচ্ছেন। শ্বশুরবাড়ি বলছে, “আমাদের প্রিয় মেয়ে হাসিনাকে তাড়িয়ে চীনের সাথে ফ্লার্ট? এটা তো অসুরের কাজ!” X-এ পশ্চিমবঙ্গের কেউ কেউ লিখছে, “ইউনুস জামাত-এ-ইসলামীকে ফ্রি হ্যান্ড দিয়ে আমাদের আঘাত করছে।” বাংলাদেশিরা বলছে, “আমাদের গর্বকে অসুর বানানো মানে দুই বাংলার বন্ধন ভাঙা!”
জামাইয়ের আদর ফিরবে কীভাবে?
দুলাভাই চিরকাল অসুর থাকবেন? না, বাঙালি গল্পে হ্যাপি এন্ডিং থাকেই। শালা-শালির মন জয় করতে কী লাগবে? পুজোর প্লেটে ইলিশ না থাকলে শালা-শালির মুখ ফোলানো বন্ধ হবে না। উৎপাদন কম হলেও কিছু রূপালি মাছ পাঠাও, দুলাভাই! মাজার-মন্দির ভাঙচুর বন্ধ, দোষীদের ধরে শাস্তি। শ্বশুরবাড়ির হিন্দু শালা-শালিরা খুশি হবে। ঝগড়া নয়, হাসিনা নিয়ে শ্বশুরবাড়ির সাথে আলাপ করো। পাশের বাড়ির চায়না নামের মেয়েটার সাথে ফ্লার্ট সুযোগ বুঝে করো, শ্বশুরবাড়ির মেয়েকে বেশি ভালোবাসো।
ভবিষ্যৎ কল্পনা: ২০২৬-এর পুজোর প্লেট
ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এ বাংলাদেশে নির্বাচন। নতুন সরকার এলে শ্বশুর-জামাইয়ের সম্পর্কে নতুন রং লাগবে। ইউনুস যদি তখনও ক্ষমতায় থাকেন, তাকে শালা-শালির দিল জয় করতে হবে। হয়তো ২০২৬-এর প্যান্ডেলে দুলাভাইকে ফুলমালা গলায় দেবী দুর্গার পাশে বসানো হবে। প্লেটে ইলিশ ভাপা, মুখে হাসি, আর প্যান্ডেলে ভালোবাসার ফোয়ারা!
ঢাকের তালে হাসি, প্লেটে আশা
মুর্শিদাবাদের প্যান্ডেল এখন হাসির রিয়েলিটি শো। দুলাভাই ইলিশ দিতে ব্যর্থ, তাই অসুর সেজে শুয়ে। শালা-শালিরা মুখ বেঁকিয়েছে, দর্শকরা হাঁ করে তাকিয়ে, আর X-এ মিমের ঝড়। কিন্তু বাংলা সিনেমার মতোই গল্পের শেষে আশা আছে। ইলিশ ফিরবে, বিদ্যুৎ জ্বলবে, ট্রানজিটের গাড়ি ছুটবে, আর শ্বশুরবাড়ি হাসবে। তখন শালা-শালিরা চেঁচিয়ে বলবে, “দুলাভাই আমাদের গর্ব, অসুর নয়! প্লেটে ইলিশ, মুখে হাসি, আর প্যান্ডেলে ভালোবাসার ঝালমুড়ি!”
লেখক: নিপুণ চন্দ্র, মফস্বল সম্পাদক, দৈনিক বর্তমান বাংলা

