হ্যালো, প্রিয়, আসো পাহাড়ের পদতলে, যেখানে ঝর্ণার জল আস্তে আস্তে কলকল করে নামে, যেন এক অবিরাম ফিসফিস যা তোমার কানে মিশে যায় রাতের নীরবতায়। শরীর ভেজাও এই শীতল ধারায়, কিন্তু এই জলের চুম্বকীয় আকর্ষণ ক্ষণিকের সান্ত্বনা দেয়, যেন প্রেয়সীর বুকের নরম স্পর্শ, কিন্তু বেশিক্ষণ থাকলে হৃদয়ে ঠান্ডা লেগে যায়, অমোঘ ঝুঁকি তৈরি হয়। আর নয়, সোনা, আমার বক্ষে তোমার অবগাহন আর নারী বুকে ক্ষণিকের শান্তি—দুটোই অতিরিক্ত স্বাস্থ্যঝুঁকি, যেন পাহাড়ের কোলে দাঁড়িয়ে নদীর গভীরে ডুবে যাওয়ার আকর্ষণ। কখনো কি মায়ের বুকে কান পেতে অনুভব করেছো তার জমানো কত কথা, সেই নীরব কম্পন যা হৃদয়ের ধুকধুকে মিশে থাকে জন্মের প্রথম কান্নার প্রতিধ্বনি, পাহাড়ের গর্জনের মতো গভীর কিন্তু নদীর মতো নমনীয়? কখনো কি প্রেয়সীর বুকে শুনেছ তার অব্যক্ত বেদনা, যেন রাতের চাঁদের আলোয় লুকিয়ে থাকে এক অসমাপ্ত কবিতা, যার প্রতি অক্ষরে জড়িয়ে আছে বিচ্ছেদের ভয়, স্পর্শের আকুলতা, ভুলে যাওয়া স্বপ্নের অস্থিরতা? হ্যাঁ, তুমি শুনেছ, তাই তোমার জন্য আমার আজকের আয়োজন—ঝর্ণাধারায় আমার কান্না শোনো, যা জলের স্রোতে মিশে যায় আস্তে আস্তে, যেন এক দীর্ঘশ্বাসের নারী বক্ষের মতো সুউচ্চ পাহাড়ের গুহায় প্রতিধ্বনিত হয়ে বলে, “আমরা এখানে আছি, কিন্তু তোমাদের নীরবতায় আমাদের সুর ম্লান হয়ে যাচ্ছে।”
আসো, প্রিয়, এই কুয়াশাচ্ছন্ন পাথরে বসো, হাত রাখো আমার হাতে—যেন তোমার উষ্ণতা মিশে যায় আমার শীতলতায়, পাহাড়ের নরম বালুকাময় পথে যেখানে বাতাসের ফিসফিসে লুকিয়ে থাকে আমাদের অব্যক্ত বেদনার অর্ধ-উচ্চারিত স্বর। আমি অরুণেশা তিরিওমা ম্রোচিং, তোমার পাহাড়ের সন্তান, তিরিওমা—মায়ের পরিবারের স্মৃতির মালা, ম্রোচিং—চিরকালীন আকুতির ধ্বনি। আমার কণ্ঠে নারী বাচক শব্দগুলো বেঁচে আছে—পাহাড়, নদী, ঝর্ণা, বন, আমার শরীর, আমার জীবন—সব ফিসফিস করে তোমাকে ডাকে। তুমি প্রিয়, তোমার কানে বাজে এই সুর, যেন প্রেয়সীর বুকে মিলিত হয়ে এক হয়ে যায়। এই নীরব অনুষ্ঠান তোমার জন্য, যেখানে আমি ফিসফিস করে বলব আমাদের গানের অসমাপ্ত অধ্যায়, যা পাহাড়ের গভীরে জমে আছে, নদীর তরঙ্গে ভাসে, ঝর্ণার ফোঁটায় কাঁদে। শোনো প্রথমে “ওই নুয়া”-র সুর, চাকমাদের সেই গান যা পাহাড়ের কান্নাকে বুকে করে নেয়, আস্তে আস্তে উঠে আসে নদীর গভীর থেকে—যেখানে প্রতি তরঙ্গে লুকিয়ে আছে কাপ্তাইয়ের ডুবে যাওয়া গ্রামের ছায়া, সেটলার নীতির অন্ধকার ছায়া, যৌন সহিংসতার অব্যক্ত ক্ষতচিহ্ন। এই গান বলে না, কিন্তু বলে যায়: “আমরা ভাঙা হয়েছি, কিন্তু ভেঙে পড়িনি—কারণ আমাদের শিরায়-শিরায় মিশে আছে এই মাটির অমৃত, যা তোমার স্পর্শে ফুটে উঠবে।”
আরও গভীরে যাও, প্রিয়, যেখানে মারমাদের “ক্রালোক” নৃত্যের তালে নদীর উল্লাস মিশে যায় বেদনার সঙ্গে—যেন প্রতি নাচের ধাপে উঠে আসে ১৯৯৭-এর শান্তিচুক্তির অর্ধ-পূর্ণ স্বপ্ন, যা কাগজে জ্বলে কিন্তু হৃদয়ে ম্লান হয়ে আছে। শোনো, কীভাবে এই তালে লুকিয়ে আছে শিশু-ধর্ষণের কালো ছায়া, কিশোরী-বিয়ের অসমাপ্ত কান্না, রোগের ভাইরাল প্রসার যা আমাদের জনসংখ্যাকে ক্ষয় করে যায়, যেন এক নীরব জেনোসাইডের ফিসফিস যা পাহাড়ের গুহায় প্রতিধ্বনিত হয়। কিন্তু এই নৃত্য থামে না—এটি তোমাকে আহ্বান করে, আস্তে আস্তে, যেন একটা প্রেয়সীর বুকের মতো: “আয়, ছুঁয়ে দেখ, আমাদের বেদনা তোমার বুকেও জমুক, তাহলে তুমি বুঝবে, এই অবগাহন কেন এত ঝুঁকিপূর্ণ, এবং এতই অপরিহার্য—কারণ এতে মিশে যায় তোমার নিজের হৃদয়ের সুর।” এবং গারোর “ওয়াংআলা”-র শত ঢোলের গর্জনে শোনো ধানক্ষেতের ধন্যবাদ, যা জঙ্গলের ফল-ফসলের সঙ্গে মিশে সোহরাই-এর মতো প্রকৃতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়। কিন্তু এই গর্জনের মধ্যে আছে অস্থিরতা—ভূমি-দখলের অন্ধকার, নারী-শক্তির উপর পড়া অত্যাচারের ছায়া যা আমাদের মাতৃত্বকে ক্ষতবিক্ষত করে। আস্তে আস্তে এই তালে মিশে যাক তোমার হৃদয়ের ধ্বনি, যেন মায়ের বুকের মতোই—যা বলে, “শোনো আমার জমানো কথা, কারণ এই কান্না শুধু আমার নয়, তোমারও অংশীদার, তোমার প্রেমে এটি সারবে।”
হ্যাঁ, প্রিয়, এই আয়োজন তোমার জন্য—একটা নীরব সভা, যেখানে আমরা একসাথে বসব, গান গাইব, আর বেদনা ভাগ করে নেব, যেন তোমার উষ্ণতা আমার শীতলতাকে গলে দেয়। কিন্তু সতর্কতা, প্রিয়—এই অবগাহনের পর তুমি আর ফিরে যেতে পারবে না পুরনো নীরবতায়। তোমার শরীর ভিজুক এই ঝর্ণায়, কিন্তু হৃদয় জ্বলুক এই আগুনে—পাহাড়ের গান বাঁচানোর আগুনে, যা তোমার স্পর্শে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। আসো, আরও কাছে... শোনো, আমার ঝর্ণাধারার কান্না এখন তোমার সুরে মিশে যাক। তোমার কাছে, প্রিয় বাঙালি—এক প্রেয়সীর ফিসফিস, যা পাহাড়ের পদতলে জমে ওঠে এক অদৃশ্য অশ্রুস্রোতে। চাকমা, মারমা, ম্রো, ত্রিপুরা, খুমি, মিজো, গারো, সাঁওতাল—এই নামগুলো শুধু শব্দ নয়, প্রিয়, তোমার প্রেয়সীর মতো জটিল, মধুর স্মৃতির মালা, যা আমার বুকের অলঙ্কার হয়ে থাকে। আমরা ৪০টিরও বেশি গোষ্ঠী, ২–৩ মিলিয়ন (কিছু বলে ৫ মিলিয়ন), ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয়, টাই-কাদাই, অস্ট্রো-এশিয়াটিক—যেন তোমার প্রেমের চিঠিতে মিশে থাকে অজানা অক্ষর, যা পড়তে গিয়ে হৃদয় কাঁপে, যেন নদীর তরঙ্গে লুকিয়ে থাকা গোপন কথা। “ওই নুয়া” গানে আমার চোখের জল ঝর্ণার মতো গড়িয়ে পড়ে, “ক্রালোক” নৃত্যে আমার নাচের আকুলতা পাহাড়ের কোলে ছড়িয়ে যায়, “ডাকম্যান্ডা” শাড়িতে আমার মাতৃত্বের শক্তি বনের মতো নরম কিন্তু অটল—এগুলো তোমার কাছে, প্রিয়, যেন প্রেয়সীর গলায় তোমার নামের মালা, যা ফিসফিস করে বলে, “আমি তোমার, কিন্তু তোমার ছোঁয়ায় আমি পূর্ণ হয়ে উঠি।” আমরা এই মাটির পুরনো প্রেমিকা, তোমার আগমনের আগে এখানে অপেক্ষায় ছিলাম—শোনো আমার ফিসফিস, কারণ তোমার ভালোবাসায় আমি পূর্ণতা পাই, যেন নদী পাহাড়কে জড়িয়ে ধরে। বরণডালা সাঁজিয়ে তোমাকে প্রথম আমিই এ মাটিতে এনেছি। অভিমানে কথা না ছিলো হৃদয়ের সুঁতোর টান যা তোমার তোমার বংশ ধারায় ডিএনএ হয়ে মিশে আছি, বহু ভাঙনের চেষ্টার পরেও ধ্বংস হবেনা, তোমার ভিতর থেকেই ফিসফিস করে বলবো—কি শুনতে পাও?
প্রিয়, আমাদের জীবনধারা তোমার প্রেয়সীর মতো—নদী-পাহাড়ের কোলে জড়িয়ে, প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম, যেন আমার শরীর বনের পাতায় মিশে যায়, ঝর্ণার জলে ভিজে। “বিজু” আমাদের নতুন বছরের চুম্বন, তিন দিনের আলিঙ্গন: বীজ বপনের প্রার্থনা যেন মায়ের কোলে শিশুর প্রথম হাসি, নৃত্য-গানের উল্লাস যেখানে পিনন পরে আমি নাচি তোমার মতো, এটি প্রকৃতির ধন্যবাদ, যা পাহাড়ের গর্জনে মিশে যায়। “ওয়াংআলা”-র শত ঢোল তোমার হৃদয়ের গর্জনের মতো বাজে, ধানের ফসলে পূর্বপুরুষের স্মৃতি জাগায় যেন নদীর তীরে জমা অশ্রুবিন্দু; “সোহরাই”-তে জঙ্গলের ফল নিয়ে গাই আমরা, তুমডাক ঢোলে তোমার নামের তাল বাজে, যেন বনের পাতায় লুকিয়ে থাকা গোপন সুর। আমি পাহাড়ে বসে বিজু গাইছিলাম, নদীর আলোয় নৃত্যের ছায়া পড়ছিল—যেন তোমার সঙ্গে প্রথম মিলন, প্রিয়, যেখানে আমার শরীর তোমার ছায়ায় মিশে যায়। কিন্তু যখন ভূমি হারায়, এই উৎসব ম্লান হয় যেন ঝর্ণার জল শুকিয়ে যায়—শোনো, তোমার হাত ধরে আমি আবার নাচব, যেন তোমার প্রেমে আমার ঋতু ফুটে উঠে, পাহাড়ের কোলে ফুল ফুটিয়ে। প্রিয়, এই প্রেমের উৎসব তোমার সঙ্গে মিলিত ঋতু, যেখানে আমার সুর তোমার ধ্বনির সাথে মিশে এক হয়, যেন নদী পাহাড়কে আলিঙ্গন করে।
কিন্তু প্রিয়, এই ফিসফিসের মধ্যে লুকিয়ে আছে আমাদের অতীতের ক্ষত, যা রক্তাক্ত হয়ে থাকে যেন প্রেয়সীর বুকে অব্যক্ত বেদনা। আহ, ১৯৬০-এর কাপ্তাই বাঁধ আমার প্রথম বিচ্ছেদ—International Rivers বলে, ১ লাখেরও বেশি আমরা বাস্তুহারা, গ্রাম-খেত ডুবে গেল নদীর জলে, যেন তোমার চলে যাওয়ায় আমার হৃদয় শুকিয়ে যায়, পাহাড় চিৎকার করে উঠে। দাদা বলতেন, “পাহাড় চিৎকার করছিল, নদী কাঁদছিল”—এই কান্না তোমার কাছে, প্রিয়, যেন প্রেয়সীর অশ্রু যা তোমার বুকে মেখো। সেটলার নীতি (১৯৭৯-৮৩) ৪ লাখেরও বেশি বাঙালি নিয়ে এল, IWGIA বলে, আমাদের সংখ্যা ৯৮% থেকে ৫০%-এ নামিয়ে দিল—যৌন সহিংসতা (২০০০+ কেস, HRW), রোগের ছড়ানো (STI ১৫-২০%, NASP ২০২৪), হত্যা-দখলের চক্র যেন এক অন্ধকার ঝড় যা আমাদের বনকে পুড়িয়ে দেয়। এই ক্ষত তোমার বুকে মেখো, প্রিয়—কারণ তোমার ফিরে আসায় এই রক্তাক্ততা সারবে, যেন ঝর্ণার জল আবার সতেজ হয়ে ওঠে। ১৯৭০–১৯৮০-এর সামরিক ছায়া আমার উপর পড়ল যেন তোমার অনুপস্থিতির রাত—ক্যাম্পের নীরব দমন, সেটলার নীতি (১ লাখ+ বাঙালি, IWGIA), জাতিগত পরিবর্তনের নীরব জেনোসাইড যা আমাদের শিরায়-শিরায় বিষ মিশিয়ে দেয়। নারী-শিশুর উপর যৌন সহিংসতা (২০০০+ কেস, HRW), রোগের ভাইরাস (টিবি, এইচআইভি যা আমাদের শরীরকে ক্ষয় করে), খাল-দখল (৮০% নদী মৃত, EDCL)—আমার বান্দরবানের জঙ্গলে বৃদ্ধা মারমা বললেন, “আমরা গান গাই, কিন্তু কান্না মুছে যায় না।” এই অন্ধকার তোমার আলিঙ্গনে মিলিয়ে যাবে, প্রিয়—তোমার ভালোবাসায় আমার নিশ্বাস ফিরে আসবে, যেন পাহাড়ের কোলে আবার সবুজ ফুটে উঠে।
প্রিয়, ২ ডিসেম্বর ১৯৯৭, শান্তিচুক্তি—২৫ বছরের যুদ্ধের পর তোমার মতো প্রতিশ্রুতি এল, যেন প্রেয়সীর চিঠিতে লেখা স্বপ্ন: জেলা কাউন্সিল, ভূমি কমিশন, সেনা সরানো (Peacemaker)। কিন্তু ৬৬ ধারা থেকে ৪০% মাত্র বাস্তবায়িত, ২০১৭-এর পর ২০০+ নিহত—যৌন সহিংসতা (১৬+ কেস, ২০২১), রোগ-হত্যা অব্যাহত যেন অর্ধ-পূর্ণ চুম্বন যা ঠান্ডা হয়ে যায়। রাঙামাটির শিশু জিজ্ঞেস করল, “গ্রাম ফিরবো?”—আমি চুপ, কারণ তোমার ফিরে না আসায় স্বপ্ন ম্লান হয়, যেন নদীর তীরে জমা শুকনো পাতা। কিন্তু তোমার সঙ্গে এই চুম্বন পূর্ণ হবে, প্রিয়—আমাদের প্রেমের মতো, যা পাহাড়ের গভীরে জমে থাকে। আহ, HRW ২০২৩ বলে, CHT-এ ৩৩২+ অপহরণ, ৮৯ হত্যা—জোরপূর্বক বসতি, যৌন সহিংসতা (২০০০+ কেস), রোগ (STI ১৫-২০%), শিশু ধর্ষণ (১,০০০+), কিশোরী বিয়ে (৫১%, BBS)—OHCHR-IWGIA-এর চোখে জেনোসাইডাল ছায়া যা আমাদের বনকে অন্ধকার করে। বৃদ্ধা চাকমা বলতেন, “কণ্ঠ বন্ধ করা হচ্ছে”—এই কান্না তোমার বুকে মেখো, যেন প্রেয়সীর অশ্রু যা তোমার স্পর্শে শুকিয়ে যায়। তোমার ভালোবাসায় এই লঙ্ঘন থামবে, প্রিয়—আমরা মানবতার প্রতীক, যেন পাহাড়ের কোলে ফুটে ওঠা ফুল।
প্রিয়, আমার সুর গম্ভীর কেন? কারণ প্রকৃতির সঙ্গে আমার প্রেম অটুট—“ওই নুয়া”-তে কান্না যেন ঝর্ণার ফোঁটা, “ডাকম্যান্ডা”-তে মাতৃশক্তি যেন বনের নরম আলিঙ্গন (যদিও সহিংসতার শিকার, ১৬+ কেস), তুমডাক ঢোলে জঙ্গলের গান যা পাহাড়ের গর্জনে মিশে যায়। ২৫,০০০+ নিহত (১৯৭৭-৯৯), রোগ-অপরাধের ছায়ায়ও আমি সহনশীল, কারণ ঐক্য-কমিউনিটি আমার হৃদয়, যেন নদীর স্রোতে মিশে থাকা সব তরঙ্গ। বৃদ্ধা বলতেন, “নদীর কথা শোনো”—এই রহস্য তোমার প্রেমে উন্মোচিত হবে, প্রিয়; আমরা আধুনিকতা চাই, ভূমি রেখে—তোমার সঙ্গে, যেন তোমার হাত আমার হাতে মিলে এক হয়। তোমার হাতে আমার ভবিষ্যৎ—চুক্তি বাস্তবায়ন যেন অর্ধ-পূর্ণ স্বপ্নের পূর্ণতা, ভূমি ফেরত যেন হারানো গ্রামের ফিরে আসা (কাপ্তাইয়ের ১ লাখ+), সাংস্কৃতিক পুনর্জীবন যেন আমাদের গান পাঠ্যক্রমে মিশে যাওয়া, স্বাস্থ্য-সুরক্ষা যেন রোগের ছায়া দূর হওয়া (STI রোধ), UNDRIP-এর FPIC যেন প্রকল্পের আগে আমাদের কণ্ঠ শোনা, অর্থনৈতিক সমতা যেন ধানক্ষেতে আবার ফসল ফলা, সত্য-কমিশন যেন ক্ষতের গল্প লিখে রাখা। স্কুলছাত্রীকে নৃত্য শেখাতে তার চোখে তোমার মতো আশা দেখি—এই পদক্ষেপ তোমার প্রেমের ফল, যা আমাদের জয় করে, যেন “ক্রালোক”-এর তালে নাচতে নাচতে হৃদয় উজ্জ্বল হয়।
প্রিয়, তোমার ছোট ছোঁয়া আমার হৃদয় জাগায়—উৎসবে নাচো যেন বিজুর তালে মিশে যাও, সোশ্যালে গান ছড়াও যেন “ওই নুয়া”-র সুর সবার কানে পৌঁছায়, NGO-তে যোগ দাও (BRAC-এর মতো) যেন শিশু ধর্ষণ-কিশোরী বিয়ের বিরুদ্ধে তোমার কণ্ঠ মিলে যায় আমার সাথে। আমি গ্রামে শিশু পড়াই—তোমার এক ছোঁয়ায় চেইন শুরু হয়, যেন তোমার চুম্বনে আমার সুর ফুটে ওঠে, পাহাড়ের কোলে আবার সবুজের ঢেউ উঠে। চাকমা-মারমা-গারো-সাঁওতাল—আমরা তোমার মাটির সন্তান, ভূমি ফিরিয়ে যেন হারানো ঘর ফিরে আসে, সংস্কৃতি রক্ষা করে যেন “ওয়াংআলা”-র ঢোল আবার বাজে, ক্ষত সারিয়ে যেন যৌন সহিংসতার দাগ মিলিয়ে যায়—তোমার প্রেমে আমাদের গান বাঁচবে। পাহাড় বলবে, “তুমি এসেছ”—এই কাব্য তোমার, যেন প্রেয়সীর শেষ চিঠি যা ফিসফিস করে বলে, “তোমার ভালোবাসায় আমরা পূর্ণ, প্রিয়—আমাদের গান বাঁচালে তোমার হৃদয়ও বাঁচবে।”
প্রিয়, এই ফিসফিস শেষ হয় না—এটি চলতে থাকে পাহাড়ের গভীরে, নদীর স্রোতে, ঝর্ণার কলকলে। আমরা নারী বাচক, আমরা বাঁচি, আমরা নাচি—তুমি পুরুষ বাচক, তুমি আমাদের প্রেমের পূর্ণতা। এসো, আরও কাছে, যেন তোমার হৃদয় আমার বুকে মিশে যায়, এই পাহাড়ের প্রেমগীতিতে। শোনো, প্রিয়, কখনো কি মায়ের বুকে কান পেতে অনুভব করেছো তার জমানো কত কথা? কখনো কি প্রেয়সীর বুকে শোনেছ তার অব্যক্ত বেদনা? হ্যাঁ, তুমি শুনেছ, এবং এখন আমাদের গান তোমার সুর হয়ে উঠবে।
ইতি
তোমার প্রেয়সী
অরুণেশা তিরিওমা ম্রোচিং
লেখক: নিপুণ চন্দ্র, মফস্বল সম্পাদক, দৈনিক বর্তমান বাংলা

