অবসর যাপন
ধু-ধু জীবনে ছায়া ঘেরা স্নিগ্ধ ভালোবাসার নিমন্ত্রণপত্র তুমি
গভীর আশ্চর্যের মতো তোমার প্রেমপত্রের সুর
অবসরে ব্যক্তিগত ঝুলন বারান্দা থেকে শীতের দুপুরের মিঠে রোদে আমসত্ত্ব
আর কুলের আচারের মতো তোমাকে ভালোবাসায়...
ভালোবাসি সমস্ত নেট দুনিয়ার থেকে নিভৃতে জঙ্গলের প্রিয় গাছটার মতো
বিকেলের ম্লান রোদ এসে আঙুল ছুঁয়ে যায়, চোখ পৌঁছায় দূরের লাল মাটির পথে-
উপত্যকা পেরিয়ে ফিরে আসি তোমার চেনা ঠিকানায়,
কখনো বা সে গন্তব্য সুখস্মৃতি কখনো বা আরক্ত অতীতে
কোন এক গ্রীষ্মের দুপুর
গ্রীষ্মের দুপুরের মালাই বরফওয়ালার ডাক
কেমন জানি মন কেমন করা পুরানো ডাইরির পাতার মতো
রিনঝিন ঝুমঝুম টুংটাং সুর তোলে
সেই কবেকার ফেলে আসা মেয়েবেলারা ধরা দেয় জানালার কার্নিশ জুড়ে
করিডোরে তখনও বিপদসীমা
সদর দরজার আলপনা লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ তুলসী মঞ্চ-
সব যেন এক অলিখিত বন্ধন
বন্ধন মানেই কি শুধু পরাধীনতা?
চিহ্নহীন প্রশ্নেরা ভাতের ফ্যানের মতো
হাড়ির গা বেয়ে ঝুলছে কিংবা যোনী থেকে রজস্রাব
একটার পর একটা যুগ পেরিয়ে যায় সম্পর্কের গ্রাফ বুঝতে বুঝতে

