logo
ads

কর্মক্ষেত্রে নারী সুরক্ষা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশকাল: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৫ পি.এম
কর্মক্ষেত্রে নারী সুরক্ষা

সংগৃহীত

কর্মক্ষেত্রে নারী সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যৌন হয়রানি ও বৈষম্য প্রতিরোধ, সমান কর্মসুযোগ প্রদান, সম্মানজনক কর্মপরিবেশ তৈরি এবং কর্মীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এই সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নীতিমালা প্রণয়ন, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া অপরিহার্য। 

নারী সুরক্ষা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ-

আইনি ও নীতিগত সুরক্ষা:
কর্মীদের জন্য যৌন হয়রানি নিরসন ও প্রতিরোধ বিষয়ক নীতিমালা তৈরি এবং তা কঠোরভাবে প্রয়োগ করা। বাংলাদেশ কনভেনশন অন দ্য এলিমিনেশন অফ অল ফর্মস অফ ডিসক্রিমিনেশন এগেইনস্ট উইমেন (CEDAW) সনদ অনুসমর্থন করেছে, যা কর্মক্ষেত্রে নারীর সমান অধিকার ও বৈষম্যহীন সুযোগ নিশ্চিত করে। 

সচেতনতা বৃদ্ধি:
কর্মক্ষেত্রে নারী কর্মীদের অধিকার, নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিয়ে আলোচনা ও সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। 

অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা:
নারীদের হয়রানি বা বৈষম্যের শিকার হলে তা জানানোর জন্য একটি শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত অভিযোগ গ্রহণ ও নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া থাকা উচিত। 

সুষম কর্মপরিবেশ:
কর্মক্ষেত্রে নারীর মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এমন একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা জরুরি। 

বৈষম্যহীন সুযোগ:
নারী ও পুরুষ নির্বিশেষে সকলের সমান কাজের সুযোগ, পদোন্নতি, ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। 

সামাজিক ও রাজনৈতিক সমর্থন:
কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক প্রচারণার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এবং নারী সুরক্ষার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও যৌক্তিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা জরুরি। 

গুরুত্বপূর্ণ কিছু দিক-
মানবাধিকারের প্রতি সম্মান:

নারীর মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানানো এবং তাদের অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া কর্মক্ষেত্রের সুরক্ষার জন্য অপরিহার্য। 

অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি:
কর্মসংস্থানের মাধ্যমে নারীর অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হলেও, এর সাথে সাথে তাদের নিরাপত্তা ও সমতাপূর্ণ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা দরকার। 

যৌথ উদ্যোগ:
সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, শ্রমিক সংগঠন এবং অন্যান্য অংশীদারদের সম্মিলিত উদ্যোগে কর্মক্ষেত্রে নারীর সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ