নারী উন্নয়নে সবচেয়ে বড় বাধাগুলো হলো দারিদ্র্য, পুরুষতান্ত্রিক সামাজিক কাঠামো ও মনোভাব, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা (যেমন নারী নির্যাতন ও হয়রানি), নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের অভাব এবং শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগের অসমতা। এই বাধাগুলো সম্মিলিতভাবে নারীর সামগ্রিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নকে ব্যাহত করে। প্রধান বাধাগুলো-
দারিদ্র্য:
নারী উন্নয়নে দারিদ্র্য একটি প্রধান বাধা, যা নারীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক অংশগ্রহণে সরাসরি প্রভাব ফেলে।
পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা ও সামাজিক বাধা:
সমাজের পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব এবং রক্ষণশীলতা নারীর অগ্রগতি ও ক্ষমতায়নকে বাধাগ্রস্ত করে, বিশেষত পারিবারিক ও সামাজিক দায়িত্বের কারণে নারীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা:
নারী নির্যাতন, যৌন হয়রানি এবং সাইবার সহিংসতার মতো সহিংসতাগুলো নারীকে নিরাপত্তাহীন করে তোলে এবং তাদের কর্মস্থলে ও সমাজে অংশগ্রহণের সুযোগ কমিয়ে দেয়।
অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও সম্পদ নিয়ন্ত্রণে অভাব:
নারীর নিজের উপার্জনের উপর আর্থিক নিয়ন্ত্রণ না থাকা এবং অর্থনৈতিকভাবে পরনির্ভরশীল হওয়া নারীর ক্ষমতায়নের পথে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা।
শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের অসমতা:
অনেক ক্ষেত্রে নারীরা শিক্ষালাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন অথবা উচ্চশিক্ষিত হলেও পারিবারিক দায়িত্বে সীমাবদ্ধ থাকেন। এছাড়া, কর্মক্ষেত্রেও তারা যৌন হয়রানি এবং বৈষম্যের শিকার হন, যা তাদের উপার্জনের সুযোগকে সীমিত করে।
শ্রমের লিঙ্গভিত্তিক বিভাজন:
সমাজে শ্রমের বিভাজনও একটি বড় বাধা, কারণ নারীরা প্রায়শই নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকে এবং পেশাগত উন্নয়নে সুযোগ পায় না।
এই বাধাগুলো দূর করতে হলে প্রয়োজন সামাজিক মানসিকতার পরিবর্তন, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা এবং সকল প্রকার সহিংসতা ও বৈষম্য প্রতিরোধ করা।

