নারী উন্নয়নকে টেকসই উন্নয়নের অন্যতম প্রধান শর্ত হিসেবে চিহ্নিত করেছে সমাজবিজ্ঞানী ও উন্নয়নকর্মীরা। তাদের মতে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান এবং সামাজিক নিরাপত্তায় নারীর অধিকার নিশ্চিত করা না গেলে কোনো সমাজই প্রকৃত অর্থে উন্নত হতে পারবে না।
সাম্প্রতিক এক আলোচনা সভায় বক্তারা জানান, দেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী হওয়া সত্ত্বেও এখনো তাদের অনেকেই দারিদ্র্য, বৈষম্য, বাল্যবিবাহ, যৌতুক ও সহিংসতার শিকার। ফলে তাদের সম্ভাবনা যথাযথভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না।
একজন নারী অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হলে শুধু নিজের পরিবার নয়, সমাজ ও রাষ্ট্রও উপকৃত হয় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তারা বলেন, “একজন শিক্ষিত ও ক্ষমতায়িত নারী একটি প্রজন্মকে আলোকিত করতে পারেন। তাই নারী উন্নয়ন মানে জাতির উন্নয়ন।”
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে নারীদের কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ ক্রমশ বাড়ছে। চিকিৎসা, শিক্ষা, প্রশাসন, প্রযুক্তি, এমনকি উদ্যোক্তা খাতেও নারীরা এগিয়ে আসছেন। তবে এখনো নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও সমান মজুরির ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়ে গেছে।
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs)-এ নারীর ক্ষমতায়নকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষা বিস্তার কিংবা পরিবেশ সংরক্ষণ সম্ভব নয়।
সমাজকর্মীরা মনে করেন, নারীর ক্ষমতায়নকে কেবল সামাজিক আন্দোলন নয়, বরং জাতীয় উন্নয়নের কৌশল হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। এজন্য প্রয়োজন নারীর শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি, প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা এবং আইনগত সুরক্ষা আরও শক্তিশালী করা।

