logo
ads

জলবায়ু যোদ্ধা নারী: গ্রামীণ মায়েদের অধিকারের জন্য শিবিরের কান্না-হাসির স্বপ্ন

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশকাল: ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:১৫ পি.এম
জলবায়ু যোদ্ধা নারী: গ্রামীণ মায়েদের অধিকারের জন্য শিবিরের কান্না-হাসির স্বপ্ন

বর্তমান বাংলা

বাগেরহাটের চাঁদপাই ইউনিয়ন পরিষদের মাটিতে আজ এক মায়াময় মায়ের কান্না-হাসির মিলন! ধরিত্রী রক্ষায় আমরা, পশুর রিভার ওয়াটার কিপার, বাদাবন সংঘ ও ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে বিশ্ব নারী দিবস ২০২৫-এর প্রতিপাদ্য "জলবায়ু অভিযোজনে গ্রামীণ নারী" নিয়ে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত জনসমাবেশ যেন সুন্দরবনের ঢেউয়ের মতো উথালি-পাথালি হয়ে উঠেছে। এই সমাবেশ শুধু একটি সভা নয়, এটি গ্রামীণ নারীদের অধিকারের জন্য এক অশ্রুসিক্ত আহ্বান, যেখানে খাদ্য, পানি ও জমির উপর তাদের অধিকার রক্ষার দাবি যেন মায়েদের হৃদয় থেকে উঠে আসা এক মর্মান্তিক ক্রন্দন—যা জলবায়ু পরিবর্তনের কালো ছায়ায় কাঁপা জীবনগুলোকে আলিঙ্গন করে, আশার অমর আলো জ্বালিয়ে দিচ্ছে। মোংলা উপজেলার এই দুর্গম চরে, যেখানে সুন্দরবনের মায়েরা দিনরাত লড়াই করে বেঁচে থাকার জন্য, এই সমাবেশ যেন তাদের অদম্য সাহসের জয়গান, যা হাজারো মায়ের চোখে জল এনে দিয়েছে, বুকে জাগিয়েছে নতুন শক্তির স্ফুলিঙ্গ।

বিশ্ব নারী দিবস ২০২৫-এর এই প্রতিপাদ্য যেন গ্রামীণ নারীদের অজানা যুদ্ধের কাহিনি তুলে ধরেছে—জলবায়ু অভিযোজনে তাদের অদম্য ভূমিকা, যেখানে সুন্দরবনের মায়েরা ঝড়-জলের মুখোমুখি হয়ে দাঁড়িয়ে খাদ্য উৎপাদন করে, পানির সংকট মোকাবিলা করে, জমির উর্বরতা রক্ষা করে। কিন্তু এই মায়েরা কতবার হারিয়েছে তাদের অধিকার—স্যালিনিটির কালো ঢেউয়ে ধানের ফসল নষ্ট হয়েছে, খাদ্যের অভাবে শিশুরা কাঁদছে, পানির সংকটে মায়েরা রাত জেগে বেড়াচ্ছে, আর জমির মালিকানার অধিকার ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীদের লোভে। এই সমাবেশে গ্রামীণ নারীদের কণ্ঠ উঠেছে একস্বরে—আমরা জলবায়ু যোদ্ধা, আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দিন! এই দাবি যেন সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীদের ক্রন্দনের মতো গভীর, যা পশুর নদীর জল রক্ষায় ওয়াটার কিপার্সের মতো সংগঠনগুলোর হৃদয়কে কাঁপিয়ে তুলেছে। চাঁদপাই ইউনিয়নের এই মাটিতে, যেখানে মোংলা উপজেলার নারীরা দিনরাত লড়াই করে বেঁচে থাকার জন্য, এই সমাবেশ যেন তাদের অশ্রুসিক্ত স্বপ্নের প্রতিফলন, যা জলবায়ু পরিবর্তনের কঠিন যুদ্ধে তাদের অদম্য শক্তিকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।

সভাপতিত্ব করেন মোঃ নূর আলম শেখ, পশুর রিভার ওয়াটার কিপার ও সমন্বয়কারী, সুন্দরবন রক্ষায় আমরা—তাঁর হৃদয় কাঁপছে গ্রামীণ মায়েদের যন্ত্রণায়, চোখে জলের ছোঁয়া যেন সুন্দরবনের ঢেউয়ের মতো উথালি-পাথালি। তিনি বলেন, "গ্রামীণ নারীরা জলবায়ু যোদ্ধা, তাদের অধিকার ছাড়া ধরিত্রী রক্ষা অসম্ভব।" বিশেষ অতিথি প্রশান্ত হালদার, মোংলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, বাগেরহাটের কণ্ঠে ফুটে উঠছে কৃষির মাটির গন্ধ, যেন তিনি গ্রামীণ মায়েদের হাত ধরে বলছেন—আমরা তোমাদের পাশে আছি, তোমাদের লড়াই আমাদের লড়াই। আর প্রধান অতিথি কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটি এবং সিন্ডিকেট মেম্বার হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য যেন এক মহান কবিতা—তাঁর চোখে জ্বলছে কৃষির জমির উর্বরতা, হৃদয়ে গ্রামীণ নারীর অদম্য সাহস। তিনি বলেন, "জলবায়ু অভিযোজনে গ্রামীণ নারীরা মূল চালিকাশক্তি, তাদের খাদ্য, পানি ও জমির অধিকার রক্ষা না করলে ধরিত্রী বাঁচবে না।" তাঁর কথায় মিশে আছে বিএনপির গবেষণার গভীরতা, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানের আলো, যেন তিনি সুন্দরবনের মায়েদের হাত ধরে বলছেন—তোমাদের লড়াই দেশের লড়াই, তোমাদের অধিকার ফিরিয়ে আনব। এই বক্তব্য যেন সমাবেশের প্রতিটি মায়ের বুকে আশার স্পর্শ রেখে গেছে, যা জলবায়ু যুদ্ধে তাদের অদম্য শক্তিকে জাগিয়ে তুলেছে।

এই সমাবেশে গ্রামীণ নারীদের কণ্ঠ উঠেছে একস্বরে—জলবায়ু পরিবর্তনের কঠিন যুদ্ধে তাদের ভূমিকা, দক্ষিণ অঞ্চলের জলবায়ু রক্ষায় তাদের অদম্য সাহস, আর খাদ্য-পানি-জমির অধিকারের জন্য এক মর্মান্তিক দাবি। চাঁদপাইয়ের এই মাটিতে, যেখানে সুন্দরবনের মায়েরা দিনরাত লড়াই করে বেঁচে থাকার জন্য, এই আহ্বান যেন তাদের অশ্রুসিক্ত স্বপ্নের প্রতিফলন, যা ধরিত্রী রক্ষায় তাদের অধিকারের জন্য এক নতুন অধ্যায় লিখছে। পশুর নদীর জল রক্ষায় ওয়াটার কিপার্সের মতো সংগঠনগুলোর এই উদ্যোগ যেন সুন্দরবনের প্রকৃতির ক্রন্দনকে স্পর্শ করে, গ্রামীণ নারীদের হৃদয়ে আশার জোয়ার জাগিয়েছে। বিশ্ব নারী দিবসের এই প্রতিপাদ্য যেন বাংলাদেশের গ্রামীণ মায়েদের অজানা যুদ্ধের কাহিনি তুলে ধরেছে, যা জলবায়ু অভিযোজনের পথে তাদের অধিকারের জন্য এক মহান লড়াইয়ের ডাক দিচ্ছে। চাঁদপাইয়ের এই সমাবেশ যেন সুন্দরবনের ঢেউয়ের মতো ছড়িয়ে পড়ুক, গ্রামীণ নারীর অধিকার ফিরিয়ে আনুক, ধরিত্রী রক্ষায় তাদের জয়গান চিরকাল বেঁচে থাকুক!

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ