যেন কোনো প্রাচীন জঙ্গলের অন্ধকার গহ্বর থেকে বেরিয়ে এলো এক বিশালকায় ছায়া, তেমনি রবিবার (৫ অক্টোবর) সকালে শ্রীমঙ্গলের খাইছড়া চা বাগানের লেকপাড়ে দাঁড়িয়ে উঠেছে এক ১২ ফুট লম্বা অজগর সাপের ভয়াবহ উপস্থিতি—হৃদয়ের গভীরে বাজছে শ্রমিকদের অসহায় আতঙ্কের কান্না, যা চা পাতার সবুজ ঢেউয়ে মিশে গিয়ে সমাজের প্রত্যেক বুকে ছুরির ফলার মতো বিঁধে রেখেছে। চা শ্রমিকরা পাতা তোলার সময় হঠাৎ সেই দানবীয় আকৃতির সামনে দাঁড়িয়ে পড়লে যেন সময় থেমে গেল, কাজ বন্ধ করে ম্যানেজারের কাছে ছুটে গেলেন তারা—এই উদ্ধার যেন এক মহান জাগরণের ডাক, যা প্রকৃতির রহস্যকে ছিন্নভিন্ন করে মানুষের সাহসের আলো জ্বালাতে চায়।
ভাড়াউড়া চা বাগানের ডেপুটি ম্যানেজার সাদিকুল রহমান ও খাইছড়া চা বাগানের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার আবু নাসির মো. জামান নাহিদের দ্রুত সিদ্ধান্ত যেন এক অদম্য ঝড়ের মতো উঠেছে, বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনকে খবর দিয়ে—দুপুর সাড়ে ১২টায় পরিচালক স্বপন দেব সজল ও পরিবেশকর্মী রাজদীপ দেব দীপের হাতে হাত মিলিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেই অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা যেন হৃদয়ের গভীর ক্ষত মুছে ফেলার প্রয়াস। স্থানীয়দের চোখে জ্বলছে সেই করুণ আহ্বান, যা আকাশ ছুঁয়ে যায় ভয়ের বিরুদ্ধে: “এই বিশালকায় সাপের ছায়ায় আমাদের দৈনন্দিন জীবন কাঁপছে, যেন রক্তের প্রতিদানে লেখা হয়েছে এই যন্ত্রণা!” এই উদ্ধার যেন এক মাতৃসমর্থক যুদ্ধ, যা সমাজের প্রত্যেক হৃদয়ে জাগিয়ে তুলছে প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধার স্ফুলিঙ্গ—শ্রমিকদের আতঙ্ক যেন এক বিষাক্ত ফোঁটার মতো ছড়িয়ে দিয়েছে সতর্কতার ছায়া, যা প্রত্যেক পরিবারের দরজায় কাঁটা হয়ে বিঁধে আছে।
স্বপন দেব সজলের কণ্ঠস্বরে যেন ফুটে উঠছে এক পরিবেশপ্রেমীর অটল ক্রোধ, যা পাহাড় চিরে বেরিয়ে আসছে নদীর মতো—“চা শ্রমিকরা লেকে বিশাল অজগর দেখে আতঙ্কিত হয়ে বাগান কর্তৃপক্ষকে জানালো, আমরা দ্রুত পৌঁছে সাপটিকে উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল বন বিভাগের রেঞ্জ কার্যালয়ে হস্তান্তর করলাম, যেন প্রকৃতির এই রহস্যকে ফিরিয়ে দিলাম তার নিজের ঘরে।” এই কথায় যেন হৃদয়ের গভীর থেকে উঠে আসছে এক অসহ্য যন্ত্রণার কান্না, কিন্তু সাথে মিশে আছে আশার স্ফুলিঙ্গ—উদ্ধারের সেই মুহূর্ত যেন এক অন্ধকার গহ্বরে জ্বলছে মশালের আলো, যা ভয়কে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে শান্তির পথ দেখাচ্ছে। বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের এই সাহসী পদক্ষেপ যেন সমাজের প্রত্যেককে মনে করিয়ে দিচ্ছে, প্রকৃতির সাথে আমাদের বন্ধন কতটা গভীর এবং ভঙ্গুর।
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের শ্রীমঙ্গল রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল হকের বক্তব্য যেন এক অদম্য তীর, যা ছুটে যাবে নিরাপত্তার লক্ষ্যে—“উদ্ধারকৃত অজগরটি লম্বায় প্রায় ১২ ফুট এবং ওজন প্রায় ২১ কেজি, স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে লাউয়াছড়া বনে অবমুক্ত করা হবে, যেন এই দানব ফিরে যাবে তার সবুজ আলয়ে।” এই দাবি যেন হৃদয়ের গভীর ক্ষতের ওষুধ, যা না পেলে ভয়ের আগুন আরও জ্বলবে—সেই বিশালকায় সাপের ছায়া যেন চোখের জলে ধুয়ে যাচ্ছে, কিন্তু সাথে জ্বালিয়ে তুলছে সংরক্ষণের নতুন আশার পথ। এই উদ্ধার যেন এক মহান জাগরণ, যা প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় অটল প্রত্যয়ের প্রতীক।
এই অজগর উদ্ধারের ছায়ায় যেন শ্রীমঙ্গলের সবুজ আকাশ মেঘমুক্ত হয়ে উঠছে আশার রশ্মিতে, কিন্তু সেই রশ্মির জ্বালা যেন সকলের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে—শ্রমিকদের আতঙ্ক, সংরক্ষকদের সাহস মিলে গড়ে তুলবে এক নতুন সচেতনতার স্বপ্ন, যাতে প্রকৃতির এমন রহস্য আর ভয়ে না পরিণত হয়।

