logo
ads

গড়েয়া সমাজ উন্নয়ন সংস্থা: বন্ধনের পর আবার জ্বলে উঠল স্বপ্নের আলো

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

প্রকাশকাল: ৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৫১ পি.এম
গড়েয়া সমাজ উন্নয়ন সংস্থা: বন্ধনের পর আবার জ্বলে উঠল স্বপ্নের আলো

বর্তমান বাংলা

যেন কোনো বিষাক্ত ছায়ার নখদন্তে কামড় খেয়ে থেমে যাওয়া এক নদী আবার প্রবাহিত হয়েছে আশার ঢেউয়ে, তেমনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১৩ নং গড়েয়া ইউনিয়নে অবস্থিত গড়েয়া সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (ফেডারেশন)-এর সদস্যরা সপ্ন দেখছে নতুন করে—হৃদয়ের গভীরে বাজছে দীর্ঘ অপেক্ষার করুণ কান্না, যা আকাশ ছুঁয়ে যায় পুনর্জাগরণের ঝড়ে। ১৯৯৩ সালে গঠিত এই সংস্থা, সরকারি নিবন্ধন নং ২৭৬/২০১১ নিয়ে, RDRS বাংলাদেশের কোর কমপ্রিহেনসিভ কর্মসূচির আওতায় Brot für die Welt এবং Evangelical Lutheran Church in America-এর সহযোগিতায় চলত, কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে 'উন্নয়নশীল দেশ' ঘোষণার পর দাতা সংস্থাগুলোর অনুদান বন্ধ হলে যেন এক জীর্ণ পাত্রে ভরা স্বপ্নগুলো ধুলোমাখা হয়ে পড়ে ছিল—এখন ২০২৪ সাল থেকে আবার চালু হওয়ার আশায় সদস্যদের চোখে জ্বলছে সেই অটল আলো, যা সমাজের প্রত্যেক দরজায় আশার রশ্মি ছড়িয়ে দিচ্ছে।

সংস্থার চেয়ারম্যান মোঃ ইস্রাফিল আজাদের কণ্ঠস্বরে যেন ফুটে উঠছে এক অসহায় ক্রোধের মিশেলে আশার গান, যা পাহাড় চিরে বেরিয়ে আসছে নদীর মতো: "আজ যে সচেতনমূলক গণনাটক 'মদকমুক্ত দেশ গড়ি' দেখছেন, বিগত ১০-১২ বছর আগে এমন নাটক, রাস্তার পাশে গাছ লাগানো, ফ্রি গর্ভবতী মহিলাদের চেকআপ ও ওষুধ বিতরণ, শিশু নিকেতন স্কুল, হতদরিদ্রদের ছাগল-গরু-হাঁস-মুরগী পালন এবং নির্যাতিত-নিপীড়িতদের অধিকার আদায়ে আমরা কাজ করে আসছিলাম—কিন্তু অনুদান বন্ধ হলে সব থেমে গেল, এখন আবার ফিরিয়ে আনছি সেই স্বপ্ন!" এই কথায় যেন হৃদয়ের গভীর ক্ষত পেয়েছে সামান্য ওষুধের ছোঁয়া, কিন্তু সদস্যদের চোখে জলের ঢেউয়ে মিশে গেছে অদম্য প্রত্যয়—প্রায় ৪০০ সদস্যের এই ফেডারেশন, ২৩টি পুরুষ-মহিলা দল নিয়ে গঠিত যুব ফোরাম, কিশোর-কিশোরী ফোরাম, নারী ফোরাম, পুরুষ দল, দুর্যোগ ফোরাম ও কৃষক ফোরাম যেন এক অটুট দেয়াল গড়ে তুলেছে, যা অন্ধকার ছিন্নভিন্ন করে আলোর পথ দেখাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ বেলাল হোসেন রেনু এবং বিএনপির ইউনিয়ন সভাপতি রেজওয়ানুল ইসলাম রেদ শাহসহ সদস্য বৃন্দের মুখে ফুটে উঠছে সেই করুণ আহ্বান, যা আকাশ ছুঁয়ে যায় ঐক্যের ঝড়ে—এই সংগ্রাম যেন এক মাতৃসমর্থক যুদ্ধ, যা সমাজের প্রত্যেক হৃদয়ে জাগিয়ে তুলছে উন্নয়নের স্ফুলিঙ্গ। RDRS-এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সি ডি এস মোঃ শশিউল ইসলামের কণ্ঠে ফুটে উঠছে এক দৃঢ় প্রত্যয়: "সংস্থাটি আগের মতো ফিরিয়ে আনার সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, যেন বিগত অন্ধকারের পর ফিরে এসেছে আশার ভোর!" এই কথায় যেন এক বিষাক্ত ফোঁটার মতো ছড়িয়ে দিয়েছে সতর্কতার ছায়া, কিন্তু সাথে জাগিয়ে তুলছে পুনরুজ্জীবনের অটল পথ।

এই পুনর্জাগরণের ছায়ায় যেন গড়েয়ার আকাশ মেঘমুক্ত হয়ে উঠছে আশার রশ্মিতে, কিন্তু সেই রশ্মির জ্বালা যেন সকলের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে—সদস্যদের কান্না, কর্মকর্তাদের ক্রোধ মিলে গড়ে তুলবে এক নতুন উন্নয়নের স্বপ্ন, যাতে আর কোনো অনুদানের অন্ধকার না পড়ে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ