logo
ads

রুনার সাফল্যে উদ্ভাসিত গ্রামীণ অর্থনীতি

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশকাল: ১০ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:১৪ পি.এম
রুনার সাফল্যে উদ্ভাসিত গ্রামীণ অর্থনীতি

বর্তমান বাংলা

ঝালকাঠির রাজাপুরের ধূলিমাটিতে যেন এক স্বপ্নের বীজ ফুটেছে—মাহফুজ রুনার অধ্যবসায়ের তিল তিল গড়া খামার যেন এক জীবন্ত কাব্য, যেখানে ১৮টি অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান গাভী ও ছাগলের মিলনে প্রতিদিন ১৩০ লিটার দুধের স্রোত বইছে। এই দুধের নদী শুধু তার পরিবারের তৃষ্ণা মেটায়নি, প্রতিবেশি কয়েকজনের হাতেও তুলে দিয়েছে আত্মনির্ভরতার মশাল। রুনার হৃদয়ের আগুনে জ্বলছে গ্রামীণ নারীর স্বপ্ন, যেন তার প্রতিটি পদক্ষেপে ফুটে উঠছে সমৃদ্ধির এক অমর ফসল, যা রাজাপুরের মাটিকে করে তুলেছে আশার আলোয় উদ্ভাসিত।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার রুনার খামারে পা রাখেন, যেন এক স্বপ্নের তীর্থে এসে দাঁড়িয়েছেন। পশুপালনের নিখুঁত ব্যবস্থা, খাদ্য সংরক্ষণের শৃঙ্খলা, আর দুগ্ধ বাজারজাতকরণের প্রক্রিয়ায় মুগ্ধ হয়ে তিনি বলেন, রুনা যেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, যার আলো গ্রামের প্রতিটি নারীর হৃদয়ে ছড়িয়ে পড়ুক। তার এই উদ্যোগ যেন একটি গাছ, যার শাখা-প্রশাখায় ফুটে উঠবে হাজারো উদ্যোক্তার স্বপ্ন, গ্রামীণ অর্থনীতির মাটিকে করে তুলবে সবুজ ও সমৃদ্ধ।

ড. জিয়ার কণ্ঠে ফুটে উঠেছে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের কলঙ্কিত অধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ—মেগা প্রকল্পের মায়াজালে জনগণের ঘামে রোজা অর্থ লুণ্ঠনের এই নৃশংস উৎসব যেন দেশের পিঠে ছুরির মতো আঘাত হেনেছে। এই লুটের কালো হাত জনগণের স্বপ্নকে গ্রাস করেছে, কিন্তু কোনো সুফল মাটিতে পৌঁছায়নি। তিনি বলেন, এই অন্ধকার লুটপাটের বিপরীতে রুনার মতো উদ্যোক্তারা প্রমাণ করে, প্রকৃত উন্নয়ন ফোটে গ্রামের মাটিতে, যেখানে নারী, কৃষক, তরুণদের হাত ধরে দেশ এগিয়ে যায়। এই নিন্দা যেন এক ধারালো তলোয়ার, যা লুটের মুখোশ ছিন্ন করে সত্যের আলো ফুটিয়ে তুলছে।

তারেক রহমানের দূরদর্শী নির্দেশে ‘কৃষি কার্ড’ চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ড. জিয়া বলেন, এই কার্ড হবে গ্রামীণ নারী ও কৃষকদের জন্য এক মুক্তির সেতু—ঋণ, প্রশিক্ষণ, খাদ্যভাতা, ও স্বাস্থ্যসেবার আলোয় আলোকিত হবে তাদের জীবন। রুনার সাফল্য যেন একটি বীজ, যা ছড়িয়ে পড়বে প্রতিটি গ্রামে, জাগিয়ে তুলবে শত শত নারীর হৃদয়ে আত্মনির্ভরতার স্বপ্ন। বিএনপির এই টেকসই উন্নয়নের প্রতিজ্ঞা যেন এক স্রোত, যা গ্রামের মাটিতে বইবে সমৃদ্ধির নদী।

এই পরিদর্শনে ড. জিয়ার সঙ্গে ছিলেন ঝালকাঠি-১ আসনের বিএনপি মনোনয়নপ্রত্যাশী গোলাম আজম সৈকত, রাজাপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি জাকারিয়া সুমন, গালুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আবুয়াল হাসান চাঁন মিয়া, কৃষকদলের সভাপতি গোলাম ফারুক মোল্লা, তাতীদলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, যুবদল নেতা ইমাম হোসেন সেন্টুসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের উপস্থিতি যেন রুনার সাফল্যকে এক ঐক্যের মঞ্চে রূপ দিয়েছে, যেখানে সকলের হৃদয়ে জ্বলে উঠেছে গ্রামীণ উন্নয়নের সেই অমর আলো।

মাহফুজ রুনার খামার যেন একটি ফুল, যার সৌরভ ছড়িয়ে পড়ছে রাজাপুরের প্রতিটি গ্রামে। ড. জিয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিজ্ঞার মধ্যে জেগে উঠেছে এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন, যেখানে লুটের কালো ছায়া মুছে গিয়ে ফুটে উঠবে হাজারো রুনার হাসি। এই সংগ্রাম যেন আমাদের হৃদয়ে জাগায় সেই অটুট বিশ্বাস—গ্রামের মাটিতে ফুটে উঠুক সমৃদ্ধির সবুজ বন, যেখানে প্রতিটি নারীর হাতে জ্বলবে আত্মনির্ভরতার মশাল, গর্বিত এবং অমর।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ