logo
ads

গুরুদাসপুরে পানকৌড়ির মুক্তির উল্লাস

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি

প্রকাশকাল: ১০ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৪০ পি.এম
গুরুদাসপুরে পানকৌড়ির মুক্তির উল্লাস

বর্তমান বাংলা

নাটোরের গুরুদাসপুরে যেন প্রকৃতির এক মধুর গান বেজে উঠেছে—শিকারিদের ফাঁদ থেকে উদ্ধার হওয়া পাঁচটি পানকৌড়ি পাখি শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে তুলাধোনা মাঠে মুক্ত আকাশে উড়ে গেছে, যেন তাদের ডানায় মিশে গেছে স্বাধীনতার সেই অমর আনন্দ, যা গুরুদাসপুরের সবুজ মাটিতে ছড়িয়ে দিয়েছে জীববৈচিত্রের আলোর রশ্মি। গুরুদাসপুর জীববৈচিত্র রক্ষা কমিটির সদস্যদের তৎপরতায় উদ্ধার হওয়া এই জলচর পাখিগুলো স্থানীয়দের উপস্থিতিতে প্রকৃতির কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেন তাদের ফিরে আসা এক অপার বিজয়, যা হৃদয়ে জাগিয়েছে প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসার সেই উষ্ণ অনুভূতি।

সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানের কণ্ঠে ফুটে উঠেছে এই উদ্যোগের গভীরতা: “শীতের আগমনে আমাদের এলাকায় অতিথি পাখিরা ফিরে আসে, কিন্তু অসাধু শিকারিরা লোভে তাদের জীবন কেড়ে নেয়। খবর পেয়ে দ্রুত অভিযান চালিয়ে পাখিগুলোকে বাঁচাই, অপ্রাপ্তবয়স্ক শিকারিরা ভুল স্বীকার করে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে—যেন এই মুক্তি প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের বন্ধনকে আরও মজবুত করে।” তাঁর কথায় যেন মিশে গেছে সেই আবেগ, যা পানকৌড়ির ডানায় উড়ে যাওয়া স্বাধীনতার সুরকে আরও মধুর করে তুলেছে।

এই উদ্ধার যেন শুধু পাঁচটি পাখির নয়, বরং গুরুদাসপুরের মানুষের হৃদয়ে জাগিয়েছে জীববৈচিত্র রক্ষার সেই অটুট প্রতিজ্ঞা—নাজমুল হাসানের আহ্বান যেন এক মশালের মতো জ্বলে উঠেছে, “প্রকৃতি আমাদের জীবনের অংশ, অতিথি পাখিরা ভারসাম্য রক্ষা করে। তাদের হত্যা নয়, ভালোবাসা শিখুন। ‘পাখি বাঁচাও, প্রকৃতি বাঁচাও’—এই শপথ নিই।” এই ঘটনা আমাদের সকলের হৃদয়ে ছড়িয়ে দিচ্ছে সেই গভীর অনুভূতি যেন শিকারের লোভ ছাড়িয়ে আমরা প্রকৃতির সঙ্গে একাকার হই, এবং কোনো পাখির ডানা আর ফাঁদে বন্দী না হয়—পানকৌড়ির মুক্তির এই উল্লাস যেন গুরুদাসপুরের আকাশে চিরকাল জ্বলুক, গর্বিত এবং অমর।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ